Wednesday, November 27, 2024

Friday, July 26, 2024
Tuesday, May 28, 2024
Saturday, January 27, 2024

গুণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ করো।
নিরপেক্ষ বচনে গুণের ভূমিকা:
নিরপেক্ষ বচনে গুণের যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা আদৌ অস্বীকার করা যায় না। কারণ যেকোনো নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়।এই স্বীকার বা অস্বীকার করা টাই হলো নিরপেক্ষ বচনের গুণের বিষয়।যখন উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার করা হয় তখন তাকে স্বীকৃতি সূচক বা হ্যাঁ বাচক রূপে গণ্য করা হয় আর অস্বীকার করলে নঞর্থক বা না বাচক রূপে গণ্য করা হয়।
গুণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ:
গুণ অনুসারে বচনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক এবং নঞর্থক বা না বাচক ।
সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক বচন
যে নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় তে কোনো কিছু কে স্বীকার করা হয় তাকে সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক বচন বলে।
উদাহরণ:
•সকল দার্শনিক হন চিন্তাশীল।
•কোনো কোনো দার্শনিক হয় সুখী।
ব্যাখ্যা:
এই দুটি দৃষ্টান্তেই উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় তে কিছু বিষয় কে যথাক্রমে হন বা হয় দুটি দ্বারা স্বীকার করা হয়েছে।
নঞর্থক বা না বাচক বচন:
যে নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় তে কোনো কিছু কে অস্বীকার করা হয় তাকে নঞর্থক বা না বাচক বচন বলে।
উদাহরণ:
কোনো মানুষ নয় অমর।
কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী।
ব্যাখ্যা:
এই দুটি দৃষ্টান্তেই উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় তে কিছু বিষয় কে যথাক্রমে নয় শব্দ দ্বারা সঅস্বীকার করা হয়েছে।

বচন কাকে বলে ? বচনের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
বচন হলো বাক্যের তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ ও যুক্তির মূল উপাদান:
বচন হলো বাক্যের তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ। বাক্যে যেমন উদ্দেশ্য ও বিধেয় এর মধ্যে এক প্রকার সম্বন্ধ ঘোষিত হয়, বচনের ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্য ও বিধেয় এর মধ্যে এক প্রকার সম্বন্ধ ঘোষিত হয়। এরূপ সম্বন্ধ সদর্থক ভাবেও ঘোষিত হতে পারে, আবার নংয়র্থক ভাবেও ঘোষিত হতে পারে ।এদের সম্বন্ধ আবার শর্ত সাপেক্ষ ভাবেও হতে পারে, আবার শর্তহীনও হতে পারে ।
বচনের বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:
1.বচনের মূল উৎস হলো বাক্য। সুতরাং বাক্যকেই বচনের ভিত্তি বলা হয়ে থাকে।বাক্য ছাড়া বচনের অস্তিত্ব হতেই পারে না
2.প্রত্যেকটি বচনে একটি উদ্দেশ্য ও একটি বিধেয় থাকে। শুধুমাত্র উদ্দেশ্য বা বিধেয় নিয়ে বচন গঠিত হতে পারে না।
3.যেকোনো বাক্যে উদ্দেশ্য বিধেয় এর মধ্যে একটি সম্বন্ধ ঘোষণা করা হয় অর্থাৎ উদ্দেশ্য এবং বিধেয় পারস্পরিক ভাবে বিচ্ছিন্ন নয়।
4.উদ্দেশ্য ও বিধেয় এর সম্বন্ধ দুরকম ভাবে হতে পারে। সদর্থক ভাবে ও নিজ্ঞর্থক ভাবে।
5.উদ্দেশ্য ও বিধেয় এর মধ্যে সম্বন্ধ হতে পারে সেটা শর্ত সাপেক্ষ ভাবে হতে পারে আবার শর্তহীন ভাবেও হতে পারে।
6.যেকোনো বচন lই যুক্তির উপাদান বা অবয়বরুপে গণ্য হতে পারে।কারণ যুক্তি গঠিত হয় শুধুমাত্র দিয়েই।
7.সমস্ত বচনই বাক্যরুপে গণ্য হতে পারে কিন্তু সমস্ত বাক্য বচনরুপে গণ্য হতে পারে না ।
8.বচনের সত্যতার উপর যুক্তির বৈধতা নির্ভরশীল।
Saturday, December 30, 2023

বচন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন
HS Philosophy Suggestions
দ্বাদশ শ্রেণীর দর্শন সাজেশন
বচন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর প্রশ্নমান -১
1.কোন বচনের উভয় পদ ব্যাপ্যা?
উত্তর: E বচনের উভয় পদ ব্যাপ্য।
2.কোন বচনের উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য।
উত্তর: A এবং E বচনের উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য।
3.কোন বচনের উভয় পদ অব্যাপ্য?
উত্তর: I বচনের উভয় পদ ব্যাপ্য।
4. অবধারণ কাকে বলে?
উত্তর: মনে মনে আমরা যখন একাধিক বিষয়কে সংযুক্ত বা বিযুক্ত করি, তখন তাকে আবধারণ বলে।
5.বাক্য কাকে বলে?
উত্তর: দর্শনের ভাষায় চিন্তার প্রকাশিত রূপকেই বলা হয় বাক্য।
6.বচন কাকে বলে?
উত্তর: বাক্যের পরিশ্রুত ও তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপকেই বলা হয় বচন।
7.সংযোজক কাকে বলে?
উত্তর: বাক্যের ক্ষেত্রে আমরা যাকে ক্রিয়াপদ বলে থাকি, তাকেই বলে সংযোজক।
8. নিরপেক্ষ বচন কাকে?
উত্তর: যে বচনে কোনো শর্ত ছাড়াই উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে নেওয়া হয় তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে।
9.সাপেক্ষে বচন কাকে বলে?
উত্তর: যে বচনে কোনো শর্ত সহকারে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে নেওয়া হয় সেই বচন কেই সাপেক্ষ বচন বলে।
10. বাক্যের মাধ্যম কী?
উত্তর: বাক্যের মাধ্যম হলো ভাষা।
11.বচনের উৎস কী?
উত্তর: বচনের উৎস বাক্য।
12. বাক্যের কয় অংশ ?
উত্তর: বাক্যের তিনটি অংশ।
13.বচনের কয়টি অংশ?
উত্তর: বচনের 4টি অংশ।
14. গুণ অনুসারে বচন কয় প্রকার?
উত্তর: গুণ অনুসারে বচন দুই প্রকার।
15. পরিমাণ অনুসারে বচন কয় প্রকার?
উত্তর: পরিমাণ অনুসারে বচন দুই প্রকার।